
এর আগে মৈত্রেয়ী দেবীর ‘ন হন্যতে’ আর সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘শবনম’ পড়ার সময় আচ্ছন্ন ছিলাম। এবার বিভূতিভূষণের ‘পথের পাঁচালী’ পড়ার সময় একই অনুভূতি হলো।
বিবিধ কারণে উপন্যাসটা এতোদিন পড়া হয় নাই। সম্প্রতি সদ্য সম্পর্ক গড়ে ওঠা কিন্তু ঘনিষ্ট এক বন্ধুর সাথে ভার্চুয়াল আলাপে জেনেছিলাম, তাঁর নিজেকে নাকি পথের পাঁচালীর অপুর মতো মনে হয়। ভাবলাম, তাইলে তাঁকে বুঝতে হলে পথের পাঁচালী পড়া আবশ্যক। অজুহাত যেহেতু পাওয়া গেছে, আর দেরি কেন 🙂
দুর্গা ও হরিহর- উভয়ের মৃত্যু সংবাদ আমার নিকট এতোই আকস্মিক ছিলো যে, বই পড়ার সময় আমি শোয়া থেকে ওঠে বসেছি। আমি ভেবেছিলাম, কাহিনীকে আরেকটু লম্বা করা হবে। ভূমিকা ছাড়া হঠাৎ এমন মৃত্যু সংবাদে পাঠককে দিশাহীন করে ফেলাকে আমি বিভূতির সাফল্য হিসেবে দেখতে ইচ্ছুক।
আহা, অপু! এই দারিদ্র্য, অভাব-অনটন, না পাওয়ার বেদনা, ছোট্ট পৃথিবী, ভালোবাসা, মায়া, অপমান, ক্ষোভ, রাগ, দুঃখ- মিলেমিশে সব একাকার…!